টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

 

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার  নিয়ে। অনেকেই ইন্টারনেট সার্চ করে থাকেন টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার কিভাবে করা যায়। তো সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব  এই পোস্টে। মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি উপকৃত হবেন। 

 

টাইফয়েড রোগটির উপসর্গ হল জ্বর কিন্তু শরীরের যে অংশ আক্রান্ত হয় তা হল ক্ষুদ্রান্ত্র৷ ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহের জন্যই টাইফয়েড হয়।

 

কারণঃ সালমোনেলা টাইফিনামের এক প্রকার জীবাণু দিয়ে এ রোগ হয় জীবাণু যুক্ত খাবার দাবার, মাছি বা অপরিষ্কার হাতের সাহায্যে এ রোগের জীবাণু পরিপাক তন্ত্রে প্রবেশ করে৷ টাইফয়েড রোগের সুপ্তিকাল ১০ থেকে ১৫ দিন।

 

লক্ষণঃ প্রথম সপ্তাহে টাইফয়েড রোগের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, জিহ্বার উপরিভাগে ময়লা জমা ইত্যাদি৷ দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা শুরু হয়৷ এ সময় প্লীহা বড় হয়ে যেতে পারেনা৷ যদি ঠিক মতো চিকিৎসা না হয় তবে তৃতীয় অথবা চতুর্থ সপ্তাহে পরিপাক নালীতে নানা রকমের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে৷ জ্বর দীর্ঘ স্থায়ী হলে ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটো হয়ে যেতে পারে অথবা পরিপাক নালী থেকে রক্তপাত হতে পারে।

 

পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ রক্ত পরীক্ষা করে টাইফয়েড রোগ নির্ণয় করা যায়৷ প্রথম সপ্তাহে ব্লাড কালচার অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভিডাল টেস্ট বা পায়খানা কালচার করে এ রোগের জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়৷

 

চিকিৎসাঃ সাধারণত কোট্রাইমক্সাজল, সাইপ্রোফ্লক্সাসিন বা অফুক্সাসিন জাতীয় ঔষধ দিয়ে টাইফয়েডের চিকিৎসা করা হয়৷ রোগীর অবস্থা যদি খুব খারাপ হয় এবং তিনি যদি মুখে কিছু খেতে না পারেন তকে সাইপ্রোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন অথবা ইনজেকশন সেফট্রিয়াক্সন দিলে রোগী ক্রমশ সুস্থ হয়ে যাবেন৷ রোগী মুখে খাওয়া শুরু করলে ইইনজেকশন বন্ধ করে মুখে ঔষধ খাওয়া শুরু করতে হবে। পুরো চিকিৎসা অর্থাত্ ইনজেকশন আর ট্যাবলেট মিলিয়ে চলবে ২ সপ্তাহ।

 

শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক, টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এগুলো মেনে চললে অবশ্যই এর প্রতিকার করতে পারবেন। সাথে থাকার জন্য সকলকে অনেক ধন্যবাদ।