পেয়ারা পাতার গুনাগুন, উপকারিতা ও অপকারিতা 

পেয়ারা পাতার গুনাগুন, উপকারিতা ও অপকারিতা 

 

প্রিয় পাঠক, আশাকরি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি পেয়ারা পাতা  নিয়ে। পেয়ারা পাতার ঔষধি গুনাগুন, পেয়ারা পাতা খেলে কি উপকার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের  পোস্টে। তাই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল আশা করি উপকৃত হবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক,  

 

প্রত্যেক দিন সকালে সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে ৩ টি টাটকা  পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলে আপনি যে যে রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।

 

পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো হলোঃ 

 

  • শুধু সাতদিন তিনটি করে পেয়ারা পাতা সেবন করলে হাই ব্লাডপ্রেশার, কোলেস্টেরল, ডাইবেটিস সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ  রোগ থেকে  বাঁচা যাই।
  • পেয়ারা পাতায় আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।পেয়ারা পাতা অকালে মাথার চুল ঝরে যাওয়া কমাতে অনেকটাই রক্ষা করে। সেইসঙ্গে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • নারী পুরুষ এর অনেক গোপন রোগ থেকে এই পেয়ারা পাতা রক্ষা করে। 
  • পেয়ারা পাতা চিবিয়ে কিছুক্ষণ মুখের ভিতর রেখে দিলে দাত এর শিরশিরা ভাব কমে যায়।পেয়ারা পাতা দাত এর জন্য খুবই উপকারী। 
  • আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ ই ডায়বেটিস রোগে আক্রান্ত তাই পেয়ারা পাতা খেলে ডায়বেটিস রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।  পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি৩ অর্থাৎ নিয়াসিন রয়েছে এবং রয়েছে ভিটামিন বি৬।

যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।রক্ত চলাচল ও মনযোগ বৃদ্ধিতে নিয়াসিন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

  • আপনার স্কুলগামী অমনোযোগী শিশুকে সঠিকভাবে পেয়ারা পাতা খাওয়ালে,তার পড়া লেখায় মনযোগ আসবে।
  • দেহে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারি গ্রন্থিগুলোর মধ্যে থাইরয়েড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 
  • এই থাইরয়েড হরমোন যদি দেহে কম বা বেশি উৎপন্ন হয় তাহলে আপনার থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা আছে।
  • এই পিয়ারা পাতা থাইরয়েড এর চিকিৎসায় শ্রেষ্ঠ ঔষধ। 
  • এছাড়াও পেয়ারা পাতা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন থাকায় এটি স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ও মুখের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে  বিশেষ ভাবে কাজ করে।
  • এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন।যার ফলে আমাদের শরিরে এলার্জি, রেস, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যায় পেয়ারা পাতা খুব উপকারী। 
  • পোকামাকড় এর কামরে ফুলে গেলে সেখানে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন।।

 

আরো অনেক রোগ এ পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা যায়।

 

পেয়ারা পাতা খাওয়ার প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে।

 

১. পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটতে দিন।

এর জন্য আপনাকে ৭-৮ টি কচি পাতা দুই গ্লাস পরিমান পানিতে ফুটতে দিন। এক গ্লাস পরিমান পানি যখন হয়ে আসবে তখন সেটা ছেকে নিন।চাইলে আপনি গ্রীন ট্রি বা চা মিশিয়ে খেতে পারেন।

 

এভাবে সাতদিন দিনে একবার করে খাবেন।তবে মনে রাখবেন খালি পেটে এটা খাবেন না। বা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর কিছু খাবেন এর আগে না।

 

.এসব সিদ্ধ করা যদি আপনার কাছে ঝামেলা মনে তাহলে তিনটা কচি পেয়ারা পাতা দিন এবং চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন।ইনসা আল্লাহ  যেসব রোগ কথা বলছি নিরাময় হয়ে যাবে।

 

পেয়ারা পাতার উপকারিতাঃ

 

মনে রাখবেন যে কোন জিনিস প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। পেয়ারা পাতার যেমন উপকারী দিক রয়েছে তেমন কিছু উপকারী দিক রয়েছে। পেয়ারা পাতার একটি হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। আরে ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার উচ্চ রক্তচাপ এর গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন অত্যাধিক ভাবে করতে পারে, যার ফলে আপনার শরীর দুর্বল বোধ মনে হতে পারে। 

শেষ কথাঃ আশা করি আপনারা ইতিমধ্যেই পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে। লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।