বুকে জমে থাকা কফ দূর করার ঘরোয়া উপায়

বুকে জমে থাকা কফ দূর করুন মাত্র ৩ দিনে!

প্রিয় পাঠক, আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি, দীর্ঘদিন যাবৎ যাদের বুকে কফ জমে আছে, সেই কফ কিভাবে দূর করা যায় মাত্র তিন দিনেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের পোস্টে। আশাকরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং উপকৃত হবে। 

আমাদের শরিরে তিনটি দোষ আছে, বাত, পিত্ত ও কফ।এই তিনটি দোষের যেকোনো একটির মাত্রা যদি বেশি হয়।তবে আমরা এই রোগ গুলোতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি।
বুঝতেই পারছেন এই তিনটি দোষের মধ্যে কফ থেকে আমাদের শ্বাসকষ্ট সর্দি কাশি ও বুকে কফ জমার মতো রোগ হয়ে থাকে।

আসলে কফ বা শ্লেম্মা হলো দেহের প্রধান জীবনীশক্তি বা রস।যা বেড়ে গেলে হাপানী বা শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, ব্রংকাইটিস,কাশি বা নিউমোনিয়া মত সমস্যাগুলো হয়।

আয়ুর্বেদে এই কফ রোগ দূর করার জন্য বিভিন্ন ভেষজ উপাদানের কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম তিনটি উপাদান হলো আদা, রসুন ও মধু।

কিন্তু কি উপায় এবং কিভাবে আদা, রসুন ও মধু সেবন করলে।আপনি দূত শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন তা জানতে হবে।

আদাঃ
মহা ওষুধ নামে খ্যাত আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভেষজ গুন।আদার মধ্যে রয়েছে জিংক প্রাকৃতিক লবন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।মনে রাখবেন শুকনো বা কাচা যেভাবেই খান না কেন আপনি উপকার পাবেনই।

রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটোরিয়াল উপাদান শরিরে যে কোন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর মধ্যে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল উপাদান রয়েছে যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দেই।

মধুঃ
মধুতে রয়েছে ৪৫ টির বেশি খাদ্যগুন।
মধু সরাসরি হাপানি শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

কিন্তু এই উপকার পেতে গেলে আপনাকে তিনটি উপাদান যেভাবে খেতে হবে সেটি হচ্ছে, প্রথমে আপনাকে এক ইঞ্চি পরিমান আদা গ্রেট করে অথাবা কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে।তারপর নিতে হবে তিন কোয়া রসুন।একই ভাবে গ্রেট বা কুচিকুচি করে নিবেন।
এবার এই দুটি উপকরণ দুই গ্লাস নর্মাল পানিতে অল্প তাপে ফুটতে দিতে হবে।
যখন সে পানি অর্ধেক পরিমানে হয়ে আসবে অর্থাৎ এক গ্লাস পরিমানে হয়ে যাবে। তখন তাপ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।এবং কুসুম-গরম অবস্থায় এটি ছেকে নিন। এর সাথে মিশিয়ে নিন এক চা চামচ খাটি মধু।

সকালে নাস্তা খাওয়ার আধ ঘন্টা পরে এবং রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে খাবেন।এইভাবে তিনদিন দুইবার করে খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ

শেষ কথাঃ

 প্রিয় পাঠক, আশা করি পোস্টটি ভাল লেগেছে এবং পড়ে উপকৃত হয়েছেন। তারপরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন  না। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।