মাথা ব্যথা হলে যা যা করণীয়  ও বিস্তারিত 

মাথা ব্যথা হলে যা যা করণীয়  ও বিস্তারিত 

 

প্রিয় পাঠক, সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা তীব্র মাথাব্যথা সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু এর সঠিক সমাধান ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ইন্টারনেটে সার্চ করে খুঁজে পান না। তাদের জন্য মূলত আজকে পোস্টটি।

 

মাইগ্রেনঃ আধকপালি বা মাইগ্রেন হলে করণীয় মাথাব্যথার প্রকৃত কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আজও কোনও স্থির সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি।টেনশনসহ নানা কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে। এসব মাথাব্যথাকে আমরা আধকপালি বা মাইগ্রেন বলি।এ নিস্তারের উপায় কি? সে বিষয়েই আজকের আলোচনা। বিজ্ঞানীরা ১৯৬০ সালে মাথাধরা সম্পর্কিত এক গবেষণায় জানান,টেনশনের কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা হয় এবং তার চিকিৎসাও সহজ।রক্তবাহী শিরাগুলো যখন মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ করে না,তখন অনেকে একে মাইগ্রেনের ব্যথা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

কি ধরনের মাথাব্যথা হযঃ মাথাব্যথা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।এর মধ্যে এক ধরনের মাথাব্যথা হল ‘মাইগ্রেন’,যা সাধারণভাবে ‘আধকপালি ব্যথা’ বলে পরিচিত।১৫-২০ বছর আগে এ রোগের তেমন প্রাদুর্ভাব ছিল না।বর্তমানে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে এর ব্যাপকতাও প্রসারিত হচ্ছে।

 

কি কারণে মাথাব্যথা হতে পারেঃ টেনশন বা অন্য কারণেও এ ব্যথা হতে পারে। রক্তবাহী শিরাগুলো কখনও কোনও কারণে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করলেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা মাইগ্রেনের ব্যথার চেয়ে তীব্র এবং মাইগ্রেনের ব্যথা বলে বুঝতে ভুল হতে পারে।

 

ধারণা করা হয়,টেনশন বা প্রাকৃতিক কারণ থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা ওঠার শুরুতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যায়-যার কিছুটা প্রভাব পড়ে অক্সিপিটাল এবং প্যারাইটাল নামক মস্তিষ্কের দুটি অংশের কার্যকারিতার ওপর।এর বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।যখন পুরোপুরিভাবে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায় তখন বহিঃমস্তিষ্কের ধমনিগুলোর প্রসারণ ঘটে-যা মূলত রক্তের মাঝে বিদ্যমান ৫- হাইড্রেক্সি ট্রিপটামিন নামক ব্রেনের উপাদানের উপস্থিতির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে।এ উপাদানটির সঠিক ভূমিকা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও সন্দিহান।

 

বংশগত প্রভাবঃ অন্যান্য ব্যথার তুলনায় মাইগ্রেনের ব্যথার ওপর বংশগত প্রভাব বেশি-যা মূলত কোষের একক ‘জিন’-এর বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।এর প্রমাণ-নেদারল্যান্ডের লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির একদল নিউরোলজিস্ট একজন মাইগ্রেন রোগীর দেহ থেকে মাইগ্রেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিন পৃথক করেন।পরে ওই রোগীর মাইগ্রেনের ব্যথা আর দেখা যায়নি।

 

দুশ্চিন্তা-অস্থিরতোঃ যারা সবসময় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে চিন্তাগ্রস্ত থাকেন বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এর প্রকোপ বেশি।তাছাড়া হঠাৎ করে কোনও বিপজ্জনক খবর বা আবেগপ্রবণ অবস্থা এ মাইগ্রেনের জন্ম দেয়।

 

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং কিছু যৌন হরমোনঃ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি।অপরদিকে মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের একদল গবেষক ১০০ মহিলার ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, যাদের নিয়মিত মাসিক হয় না-তাদের এ মাইগ্রেনের হার বেশি।আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসিকের পূর্বাবস্থায় এ মাইগ্রেনের ব্যথা উঠতে পারে।অন্যদিকে যেসব মহিলা দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন তাদেরও এ রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

 

পরিবেশের প্রভাবঃ বর্তমানে আমাদের দেশসহ বিশ্বের বড় বড় শহরে ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশকে অসহনীয় করে তুলছে।ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বর্জ্য পদার্থ ও ধোঁয়া পরিবেশকে এমন এক অবস্থায় এনেছে যার প্রভাব আমাদের শরীরের ওপর পড়েছে।আর এ প্রভাবের কারণ হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে মাইগ্রেন।গ্রাম অঞ্চলের লোকদের চেয়ে শহর অঞ্চলের লোকদের মাঝে এর প্রভাব বেশি।

 

প্রভাবিত করে এমন কারণঃ

 

প্রথমতঃ কিছু কিছু খাবার মাইগ্রেনের ব্যথার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় বা হালকা ব্যথার ভাব থাকলে তা পরিপূর্ণ মাইগ্রেনের ব্যথায় রূপ লাভ করে। নিম্নলিখিত খাবার উল্লেখযোগ্য-

১. চকোলেট

২. পনির

৩. মদ

৪. কোলাজাতীয় পানীয়।

 

দ্বিতীয়তঃ মাইগ্রেন রোগী যারা এ ব্যথার পাশাপাশি সাইনাসগুলোর প্রদাহে ভুগছেন বা প্রচণ্ড সর্দি-কাশি বা ঠাণ্ডায় ভুগছেন;তাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথার প্রকোপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

 

তৃতীয়তঃ যখন প্রচণ্ড গরম পড়ে এবং পরিবেশের অবস্থা ভ্যাপসা আকার ধারণ করে তখন মাইগ্রেনের রোগীর মাথাব্যথার প্রকোপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে শীতকালে যদি ঠাণ্ডা বাতাস বেশি লাগে বা কুয়াশা পরিবেষ্টিত অবস্থা বিরাজ করে তখন এর প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।

 

প্রকারভেদঃ মাইগ্রেন সাধারণত তিন ধরনের হয:

১. মাইগ্রেন উইথ অরা বা ক্লাসিক মাইগ্রেন;

২. মাইগ্রেন উইথ আউট অরা বা কমন মাইগ্রেন;

৩. মাইগ্রেন ভ্যারিয়্যান্স অ্যাটিপিক্যাল মাইগ্রেন।

 

মাইগ্রেনের লক্ষণঃ প্রাক-ইঙ্গিত মাইগ্রেন হচ্ছে,মাথাব্যথা শুরুর আগের ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু বিশেষ অনুভূতির প্রমাণ।

 

মাথাব্যথার আক্রমণকে কয়েক পর্যায়ে ভাগ করা যায়-

 

প্রডরমাল বা প্রাকউপসর্গ যা মাথাব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন আগে লক্ষ করা যায়;

পূর্ব লক্ষণ যা মাথাব্যথা শুরুর আগ মুহূর্তে হয়, # মূল মাথাব্যথা, # পরবর্তী উপসর্গ বা পোস্টড্ররমাল পর্যায় অধিকাংশ রোগী একাধিক পর্যায়ে ভুগে থাকেন।

পূর্ব লক্ষণঃ মাথাব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন আগে শতকরা ৫০-৮০ ভাগ মাইগ্রেন রোগীর ক্ষেত্রে কিছু মানসিক,স্নায়ুবিক,অটোনমিক ও অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়।এদের কেউ কেউ বিষণ্ন, উল্লসিত,ঝিমুনি,অতি সচেতন,অতি উৎসাহী কিংবা খিটখিটে,শান্ত ধীরগতিভাবে ভুগে থাকেন।

 

পরবর্তী লক্ষণঃ মাইগ্রেন মাথাব্যথার পরবর্তী পর্যায়ে রোগী সাধারণত ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন যেন বিশাল একটা শারীরিক পরিশ্রমের ধকল গেছে। এ সময়ে তিনি কোনও কিছু মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করতে পারেন না।

 

অরাবিহীন মাইগ্রেনঃ এটাকে কমন মাইগ্রেনও বলা হয়। অরাযুক্ত মাইগ্রেনের চেয়ে এর প্রকোপ অনেক বেশি। এ মাথাব্যথা ৪-৭২ ঘণ্টাব্যাপী হয় এবং কমপক্ষে নিচের যে কোনও দুটি লক্ষণ থাকতে পারে-

 

১. চিন চিন বা দপ দপ করে ব্যথা;

২. অর্ধেক মাথায় ব্যথা;

৩. বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া;

৪. আলো ভীতি বা শব্দ ভীতি;

৫. অতীতে এ ধরনের মাথাব্যথার কমপক্ষে পাঁচবার অভিজ্ঞতা।

 

অরাযুক্ত মাইগ্রেনঃ শতকরা ১৫ ভাগ মাইগ্রেন রোগী তাদের মাথাব্যথা শুরু হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ অনুযায়ী আসন্ন মাথাব্যথার আক্রমণ বুঝতে পারে।সাধারণত এ রোগীরা মাথাব্যথা শুরুর আগে আধঘণ্টা সময়ের মধ্যে চোখে আলোর ঝলকানি,চোখের সামনের কিছু অংশ অন্ধকার দেখা,রাস্তাঘাট উঁচু-নিচু,আঁকাবাঁকা ইত্যাদি দেখতে পান।কোনও কোনও সময়ে রোগী শরীরের অংশবিশেষ অনুভূতির অস্বাভাবিকতা অনুভব করেন। কারও কারও কিছুক্ষণের জন্য শরীরের অংশবিশেষ অবশ, কথা বলার অস্বাভাবিকতাও হতে পারে।

 

সাধারণ চিকিৎসাঃ

১. যেসব খাবার মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় সেসব খাবার বর্জন করা।

২. যদি কোনও মহিলা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেতে থাকেন, তবে তিনি বড়ি খাওয়া বন্ধ রাখবেন এবং অন্য যে কোনও ধরনের বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।

৩. পরিবেশগত কারণে যদি ধোঁয়া, ধুলাবালি, প্রচণ্ড গরম বা শীতের বাতাসের মাঝে বের হতে হয় তবে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

 

শাস্ত্রীয় চিকিৎসাঃ সাময়িকভাবে আক্রান্ত সাধারণ মাইগ্রেন রোগীর চিকিৎসা

 

১.ট্যাবলেট অ্যাসপিরিন (৬০০-৯০০ মি.গ্রা.)যা পানিতে দ্রবণীয় অথবা ট্যাবলেট প্যারাসিটামল (১ গ্রাম বা ২টা ট্যাবলেট)

২.সঙ্গে বমি বন্ধ করার জন্য ঔষধ, যেমন-

মেটোক্লোপ্রোমাইড বাজারে যা মোটিলন,নিউট্রামিড,অ্যান্টিমেট বা মেটোসিড নামে পরিচিত অথবা প্রোক্লোরপিরাজিন বাজারে যা স্টিমিটিল,ভারগন বা প্রম্যাট নামে পাওয়া যায়-এসব দেয়া যেতে পারে। ওহিরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের একদল গবেষক চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করার প্রয়োজন না পড়ে।ওই গবেষকরা শ্রেনিং টেস্টের কথা বলেছেন।এ টেস্টের ফলে ডাক্তাররা জানতে পারবেন ব্যথা কোথায় ঘটছে এবং কীভাবে রক্তবাহী শিরাগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।মাথা ধরার অন্যান্য কারণও এ টেস্টে জানা যাবে।ফলে চিকিৎসকরা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।

 

সাইনোসাইটিস লক্ষণ ও উপসর্গ

 

১. নাকে সর্দি হওয়া, বা নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া; বিশেষত যখন ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাত দিনেরও বেশি সময়ে সেরে না ওঠে।

২. নাক দিয়ে সবুজ কিংবা হলুদ পদার্থ বেরিয়ে এলে। মাঝেমধ্যে অবশ্য রক্তের ছোঁয়াও সেখানে লেগে থাকতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির গলার ভেতরে খুসখুস করে অস্বস্তিকর অনুভব হওয়া এবং সে কারণে কাশি হওয়া।

৩. কপালে কিংবা চোখে বা চোখের চারপাশজুড়ে চাপ বা বদ্ধতা কিংবা ব্যথা অনুভব করা। এই ব্যথা হয়তো কপাল থেকে মাথার পেছনের দিকে সরে যেতে পারে এবং সকালে এই ব্যথা আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে, কিংবা যখন সামনের দিকে ঝুঁকে থাকেন, তখনও এটা ঘটতে পারে।

৪. নাক দিয়ে একটা বাজে গন্ধ বের হয়,কিংবা নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয়।

 

কখনও কখনও ১) জ্বর, ২) ওপরের চোয়ালে ব্যথা হয়।

 

দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসঃ সাইনাসের জমাটবদ্ধতা এবং নাক দিয়ে তরল নির্গমন, যেটা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকে।

 

কী করা উচিত

 

১. প্রচুর পানি পান করুন-প্রতিদিন ন্যূনতম আট থেকে দশ গ্লাস।

২. জমাটবদ্ধ সাইনাসের কষ্ট থেকে স্বস্তি পেতে বাষ্পের সামনে নাক নিয়ে শ্বাস নিতে পারেন। গরম পানি দিয়ে স্নান করতে পারেন, কিংবা একটা উষ্ণ ও ভেজা কাপড় নাকের ওপর চেপে ধরে রাখতে পারেন।

৩. মুখে এবং নাকে ব্যবহারের জন্য যে ডিকনজেসট্যান্ট (বদ্ধতানিরোধক) স্প্রে পাওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এগুলো আপনাকে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এগুলো দুই দিনের বেশি ব্যবহার করা ঠিক হবে না, কেননা এগুলো ব্যবহারের পরিণাম আরও খারাপ হতে পারে।

৪. আপনার নাকে লবণাক্ত পানি ছিটকে দিয়ে ধুয়ে নিলে সেটা শ্লেষ্মা এবং ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে নিয়ে যাবে।

 

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ

১. যদি মুখ ফুলে ওঠে কিংবা দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো কোনো মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন।

২. যদি সাত দিনেও লক্ষণগুলোর কোনো উন্নতি না হয়, সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে চিকিৎসার আশ্রয় নেয়া উচিত।

৩. যদি ব্যাকটেরিয়াবাহিত সাইনাসের সংক্রমণের কোনো চিকিৎসা করা না হয়, সেক্ষেত্রে এটা হয়তো বছরের পর বছর ধরে আপনাকে ভোগাবে এবং এ সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আপনাকে আক্রান্ত করবে।

৪. নাক দিয়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংক্রামক শ্লেষ্মার নির্গমন ব্রঙ্কাইটিস, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, কিংবা অ্যাজমা ইত্যাদি রোগের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে।

 

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

১. যেহেতু অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যাগুলো থেকে সাইনোসাইটিসের অবতরণ ঘটে, তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা।

২. আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে সেক্ষেত্রে জেনে নিন কী থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়। ফলে আপনি নিজের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

৩. ধূমায়িত এবং দূষিত পরিবেশ পরিত্যাগ করে চলুন। যদি আপনি ধূমপান করেন, তবে তা পরিত্যাগ করুন।

৪. ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন, যাতে সাইনাস নিজে থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে।

৫. নাকে খুব বেশি জোরে যাতে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।