নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এর সুবিধা
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা হচ্ছে নগদ। নগদ সেবাটি বাংলাদেশ ২০১৯ সালে চালু হয়। এটি বাংলাদেশে বর্তমানে এখন সেরা ব্যাংকিং খাত হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নগদ গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টরের তুলনায় তাদের সেবার মান বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ হাজার মাত্র ৯ ৯৯ টাকা । আজকে আমরা এই পোস্টে মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
বাংলাদেশে যতগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আছে তারা সবাই ব্যবসায়ীদের জন্য এক বিশেষ সুবিধার অ্যাকাউন্টে রেখে থাকে যার নাম হল মার্চেন্ট একাউন্ট। ঠিক তেমনিভাবেই নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট তেমন একটি অ্যাকাউন্ট। নগদ এই সেবাটি চালু করেছে মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য।
নগদ একাউন্ট খোলা একদমই খুবই সহজ। আপনি মাত্র কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করেই নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। নিচের ধাপ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন
১। নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি সাধারণ পার্সোনাল একাউন্ট খোলা শুরু করতে হবে।
২। অ্যাকাউন্ট খোলার পর মাঝখানে অন্যান্য ডকুমেন্ট শিরোনামের একটি পেজ পাবেন। তারপর দুটি অপশন আসবে সাধারণ একাউন্ট আর হচ্ছে মার্চেন্ট একাউন্ট।
৩। তারপর মার্চেন্ট একাউন্ট এর অপশন এ যেতে হবে।
৪। অপশনে যাওয়ার পর আপনার চলতি বছরের হালনাগাদকৃত ট্রেড লাইসেন্স অথবা অন্যান্য কাগজপত্রের পরিষ্কার ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কার্যকর হবে না।
নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধাঃ
নগদ তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের একাউন্টের সুবিধা দিয়ে থাকে তার মধ্যে মার্চেন্ট একাউন্ট অন্যতম। মার্চেন্ট একাউন্ট এর বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে এর সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার কারণ হচ্ছে বর্তমানে সবাই সুবিধা পেতে চায়। মূলত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ মার্চেন্ট একাউন্ট থাকার কারণে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হয়।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা দোকানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট সুবিধা থাকলে সেখানে ক্রেতার আগ্রহ বেশি থাকে । মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্টের সুবিধা থাকলে গ্রাহকদের হয়রানি কম হয় এবং তারা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন যেমনঃ ক্যাশব্যাক অফার, মূল্য ছাড় ইত্যাদি।
এছাড়াও হসপিটাল এবং অন্যান্য কাজের জন্য বড় বড় লেনদেনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তখন মানুষ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নগদ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে। যার ফলে মানুষের অনেক সময় বেঁচে যায় এবং ভোগান্তি কম হয়।
বর্তমানে অনলাইন শপ এর দিকে বেশি ঝুঁকছে। আর এই অনলাইন শপ মার্চেন্ট একাউন্ট পুরো সুবিধা পেয়ে থাকেন। যার ফলে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করলে অতি সহজেই নগদ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
শেষ কথাঃ একজন গ্রাহক হিসেবে একটিমাত্র মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টরের উপরে নির্ভর না হয়ে একাধিক সেবা গ্রহণ করা উচিত। এতে করে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন রকম অফার গুলো উপভোগ করা যায়। আশা করি এই পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হবেন । যদি এই পোষ্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।