হলুদের ঔষধি গুন, উপকারিতা ও অপকারিতা

হলুদের ঔষধি গুন, উপকারিতা ও অপকারিতা

 

 প্রিয় পাঠক, সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি হলুদের উপকারিতা নিয়ে। হলুদের যত ঔষধি গুন,  উপকার ও অপকার রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের পোস্টে। আশাকরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন, 

জেনে নিন হলুদের ৫ টি ঔষধি ব্যবহার

আমরা রান্নায় যে হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করি তা পেতে প্রথমে হলুদ গাছের শিকড়কে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করতে হয়। তারপর সেদ্ধ হলুদ শুকিয়ে শিকড়কে চূর্ণ করে গাঢ় হলুদ বর্ণের গুঁড়া পাওয়া যায়। তবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে। চীনারা হলুদকে ভাবে একটা হার্বাল পণ্য হিসেবে। রূপের যত্নে যে হলুদ অনন্য সে কথা আমরা জানি। কিন্তু হলুদ যে রোগের ঔষধ সেটা কি জানি? হলুদের অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকারী ঔষধী কার্যকারিতা রয়েছে। হলুদ এ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। জেনে নিন কাঁচা হলুদের পাঁচটি ঔষধি ব্যবহার। এতে ঘরেই নিতে পারেন কিছুটা স্বাস্থ্যসেবা।

 

১। ক্ষত সারাতে:

সাধারণ কাটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপটিক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষত দ্রুত সারাতে বাটা হলুদে উষ্ণ পানি মিশিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিন। দ্রুত সেরে উঠবে।

 

২। দাগ দূর করতে:

রোদে পোড়া দাগ, বয়সের বলিরেখা, ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে সামান্য পরিমান শসার রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো-বিশ মিনিট। কিছুদিনের মাঝেই দাগ দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।

 

৩। সর্দি-কাশিতে:

সর্দি-কাশিতে হলুদ খুব উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে বাটা হলুদ, সামান্য মাখন এবং গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। কাশিতো দূর হবেই, গলা ব্যথা থাকলেও সেরে যাবে।

 

৪। অন্ত্রের রোগ সারাতে:

অন্ত্রের রোগে হলুদ মহৌষধ। অন্ত্রের রোগ থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদের রস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খান। অন্ত্রের রোগ  সেরে যাবে। আবার ডায়রিয়া সারাতেও হলুদ অনন্য।

 

৫। রক্ত পরিষ্কার করতে:

হলুদ দেহের রক্ত পরিষ্কার করে বিশ্বাস করে আর্য়ুবেদ শাস্ত্র। রক্তের ঘাটতি বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিলে হলুদ বাটা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। হলুদ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। সকালে এক চামচ কাঁচা হলুদের রস ও সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে রক্তশূন্যতা দূর হবে।

অপকারিতাঃ

হলুদ পছন্দসই নিরাপদ যখন মুখ দ্বারা নেওয়া হয় বা 8 মাস পর্যন্ত যথাযথভাবে ত্বকে প্রয়োগ করা হয়।

হলুদ সম্ভাব্য নিরাপদ যখন এটি স্বল্পমেয়াদে এনিমা বা মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

হলুদ সাধারণত উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না; যাইহোক, কিছু লোক পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, বা ডায়রিয়া অনুভব করতে পারে।

এক প্রতিবেদনে, একজন ব্যক্তি যিনি খুব বেশি পরিমাণে হলুদ গ্রহণ করেন, প্রতিদিন ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি, তিনি বিপজ্জনক হার্টের ছন্দ অনুভব করেন। যাইহোক, এটা স্পষ্ট নয় যে হলুদ এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রকৃত কারণ ছিল কিনা। যতক্ষণ না জানা যায় ততক্ষণ হলুদ বেশি মাত্রায় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।